দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রশ্ন ছিল এই ইস্যুতে কেন চুপ ইন্ডিয়া জোট। এই প্রশ্নের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুললেন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আরজি কর নিয়ে তাঁর টুইট, কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারের নৃশংস খুনের ঘটনায় থমকে গিয়েছে গোটা দেশ। এই ঘটনাকে যে ভাবে দেখা হয়েছে, তার তিনি কড়া সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি আরজি কর নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু সেখানে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল না। কিন্তু এদিন আরজি কর নিয়ে রাহুলের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যকে আক্রমণের বিষয়টি উঠে এল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও আরজি করের ঘটনায় রাজনৈতিক মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত রইল কলকাতা। এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে আরজি কর ঘুরে গেলেন আইএমএ-এর প্রেসিডেন্ট অনিল নায়ার। দেখা করলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরজি করের সিবিআই নির্দেশকে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালায় এক অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি দোষীদের ফাঁসি দাবিতে অনড়। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় সিবিআইকে সব ব্যাপারে সাহায্য করবে। কিন্তু আরজি করের প্রসঙ্গ তুলে এদিন বাম আমলে নারী নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে আরজি কর নিয়েও ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে।