খারিজ হয়ে গেল রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। শুক্রবার সংসদের সচিবালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত সচিবালয়ের। বৃহস্পতিবার সুরাত আদালতের রায়ের পরেই রাহুলের সদস্য পদ খারিজের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। মোদি পদবি নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের জেরে তাঁকে সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। তারপরেই ওয়াইনাডের কংগ্রেসে সাংসদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। শুক্রবার তাতেই সিলমোহর বসে গেল।
এদিন সংসদের সচিবালয় থেকে জানানো হয়, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে কেরলের ওয়াইনাড আসনটি শূন্য। আইন বলছে, যদি কোনও সাংসদ যে কোনও অপরাধে দু বছরের বেশি কারদণ্ড পান, সেক্ষেত্রে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। ওই আইন বলছে, সাংসদ পদ খারিজ হওয়া রাহুল অন্তত আগামী ৬ বছর কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না।
ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে সরকার। শুক্রবার এই অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১২টি বিরোধীদল। এদিন তারা সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও করে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে।