শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এরপর কেটে গিয়েছে আরও দু দিন। আজ, রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের আশা, আগামী বুধবার থেকে বালেশ্বরের উপর দিয়ে যেতে পারবে কলকাতায় থেকে দক্ষিণ ভারত ও পুরীগামী ট্রেন। শনিবারই এই ঘটনার জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই প্রাথমিক রিপোর্টে দায়ী করেছিল রেল। রবিবার কার্যত তাতেই সিলমোহর বসালেন রেলমন্ত্রী। দাবি করলেন করমণ্ডল দুর্ঘটনার মূল কারণ, এবং এর পিছনে কারা, তাদের চিহ্নিত করাা গিয়েছে। তবে, এর থেকে বেশি আর কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, রিপোর্ট খুব দ্রুতই পেশ করা হবে। এদিনও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
রবিবার সকালেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল দাবি করে খুব তাড়াতাড়ি হলেও মঙ্গলবারের আগে লাইন মেরামতির কাজ শেষ হবে না। তাও তারা চেষ্টা করছে দ্রুত এই কাজ শেষ করতে। বেলায় ফের ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। গোটা এলাকা ঘুরে তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। কারণ, দিনরাত এক করে রেলের এক হাজারের বেশি শ্রমিক লাইন মেরামতির কাজ করেছেন।
গত শুক্রবারের করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত যশবন্তপুরের চালক দাবি করেছেন, ঘটনার দিন আপ এবং ডাউন ট্র্যাক দিয়েই ট্রেন যাচ্ছিল। তাঁর গাড়ি থেকেই প্রথমে চারটি বগি কীভাবে ছিটকে বেরিয়ে যায়, তা অবশ্য তিনি বলতে পারেননি।