আজ উল্টো রথ (Ratha Yatra 2022) । মাসির বাড়ি থেকে এবার বাড়ি ফেরার পালা । পুরীতে (Puri) সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে । আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রীধামে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা । সেই উপলক্ষে মাসির বাড়িতে নানা অনুষ্ঠান চলছে । অন্যদিকে, পুরীর মন্দিরেও (Puri Temple) প্রস্তুতি তুঙ্গে । ১০ জুলাই সুনা বেশ যাত্রা রয়েছে । আর ২৩ জুলাই নিলাদ্রি বিজে যাত্রা রয়েছে । উল্টো রথ উপলক্ষে জগন্নাথ দেবের ভোগ (Jagannath Dev Prasad) নিয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক ।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৬ ভোগ রান্না করা হয় । প্রতিদিন নতুন নতুন পাত্রে রান্না করা হয় । পুরোটাই কাঠের উনুনে রান্না হয় । জগন্নাথ দেবের এই ভোগ বিতরণ করা হয় গরিব মানুষ ও ভক্তদের মধ্যে । প্রায় ১০০ টির উপর খাবারের পদ তৈরি করা হয় দুভাগে । দু'টি ভাগকে বলা হয় পাক্কা ও সুক্কা । পাক্কা হল সিদ্ধজাতীয় খাবার যেমন খিচুড়ি, সবজি । আর সুক্কা হল বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, পিঠে । জগন্নাথ দেবের রোজ খাওয়ার খরচ নাকি ২ লাখের উপর । বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান খরচ তো আরও বেশি ।
আরও পড়ুন, Most expensive tea: দুনিয়ার সবচেয়ে দামী চা কোনগুলো, জানেন? আকাশ ছোঁয়া দাম শুনলে চমকে যাবেন
এই ভোগ রান্না নিয়ে একটা কাহিনিও রয়েছে । পুরীর মন্দিরের এক মহিলা কর্মী রোজই দেবতাকে প্রসাদ দিতেন । তবে তাঁর মনে মনে ইচ্ছে ছিল, নিজের হাতে খিচুড়ি রান্না করে দেবতাকে খাওয়াবেন । দেবতাকে তিনি পুত্র রূপেই দেখতেন । তাঁর সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরে, রোজ তাঁর কাছে খাবার খেতে আসতেন জগন্নাথ দেব । কিন্তু, একবার স্নান না করেই ভোগ রান্না করছিলেন ওই মহিলা । সেকথা পুরোহিত জানতে পেরে ওই মহিলাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে । সেদিন ভোগ নিবেদন করতে দেরি হয়ে যায় তাঁর । এরপর পুরো বিষয়টি জানতে পারেন জগন্নাথ দেব । তখনই তিনি নির্দেশ দেন, সকালের খাবার বিনা স্নানেই রান্না করা যাবে । তারপর থেকেই সেই নিয়মই চলে আসছে । আর নিয়মানুযায়ী, প্রতিদিন সকালে জগন্নাথ দেবের জন্য তৈরি করা হয় বালক ভোগ ।