এই দেশের আনাচেকানাচে লুকিয়ে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্যের বীজ ও বিষ। যুগের পর যুগ ধরে এই বৈষম্যের 'শিকার' হয়েছেন মূলত নারীরা। এবার অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশে নারীর পুরুষের মধ্যে কর্মক্ষেত্র এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও যে পার্থক্য, তার ৯৮ শতাংশের নেপথ্য কারণই হল লিঙ্গবৈষম্য।
এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও কাজের বাজারে স্রেফ সামাজিক কুসংস্কার ও চাকুরিদাতাদের সংকীর্ণ মনোভাবের জন্য এখনও বিপুলভাবে পুরুষ ও নারীর মধ্যে পার্থক্য করা হয়।
বিশেষ করে ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলের কাজের বাজারে এর প্রভাব ১০০ শতাংশ! শহরাঞ্চলেও ছবিটা একইরকম দুর্বিষহ এবং আতঙ্কের। কেবল সেখানে অঙ্কটা মাত্র ২ শতাংশ কম।
এই রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, এই দেশের বাজারে গড়পড়তা স্বনির্ভর পুরুষের আয় মহিলাদের থেকে আড়াই গুণ বেশি। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশই ঘটে লিঙ্গবৈষম্য নীতি আরোপ করার জন্য। এছাড়া, সাধারণ দিনমজুরদের ক্ষেত্রেও পুরুষের আয়ের থেকে মহিলাদের আয়ের বিপুল পার্থক্যের নেপথ্যে অন্তত ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কাজ করে লিঙ্গবৈষম্য সংক্রান্ত সংকীর্ণতা।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, "গ্রামে স্বনির্ভর মহিলাদের আয়ের থেকে স্বনির্ভর পুরুষদের আয় দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি মাসে একজন গড়পড়তা পুরুষ কর্মীর আয় একজন গড়পড়তা মহিলা কর্মীর আয়ের থেকে অন্তত ৩০০০ টাকা বেশি হয়"।
২০০৪-০৫ মরসুম থেকে ২০১৯-২০ মরসুম পর্যন্ত চাকরিক্ষেত্রে সরকারি তথ্যাদির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে অক্সফ্যামের এই সাম্প্রতিক রিপোর্টটি।