আচমকা গণছাঁটাইয়ে চাকরি চলে গিয়েছে হাজার হাজার টুইটার কর্মীর। তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। কিন্তু, যাঁদের চাকরি চলে গেল আচমকা, যাঁরা সকালে অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন তাঁদের আর প্রয়োজন নেই এই বিশ্বখ্যাত সংস্থার, তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী? ছাঁটাই হওয়ার পর চিরাচরিত দুঃখপ্রকাশের বদলে একটি আবেগঘন টুইট করলেন ২৫ বছর বয়সি টুইটারের এক প্রাক্তন কর্মী যশ আগরওয়াল। জনসংযোগ বিভাগে কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার যশ জানতে পারেন, তিনি আর টুইটারের কর্মী থাকছেন না।
যশের এই পোস্টের পর অজস্র আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় ভরে যেতে থাকে তাঁর টাইমলাইন। বহু মানুষ তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। চাকরি হারানোর পরও তাঁর এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মন টেনেছে অনেক নেটিজেনের।
টুইটারের মালিকানা হস্তান্তরের পর থেকেই কর্মী ছাঁটাইয়ের জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি করেই শুক্রবার থেকে বিশ্ব জুড়ে টুইটার সংস্থার কর্মীদের কাজ থেকে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হল। আমেরিকার পর এবার ভারতেও টুইটার সংস্থায় ছাঁটাই শুরু হয়েছে। আর প্রথমেই ‘কোপ’ পড়েছে মার্কেটিং বিভাগে।
উল্লেখ্য, গণছাঁঠাইয়ের কারণে ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মচারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এই মাইক্রোব্লগিং সাইটের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। টুইটারেই সরাসরি তিনি ক্ষমা চাইলেন টুইটার কর্মীদের কাছে। এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।