দিল্লির (Delhi) বিজ্ঞান ভবন। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (N V Ramana)। কিন্তু তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে প্রেক্ষাগৃহের আলোচনায় দুটি নাম। একজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অন্যজন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Aditya Nath)। দেশীয় রাজনীতিতে তাঁরা একেবারে ভিন্ন মেরুতে। কিন্তু এদিন প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে বসার যে আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে খুব কাছাকাছিই ছিলেন মমতা এবং যোগী। সেইসূত্রেই এদিন দুজনকে এদিন কাছাকাছি দেখা গেল। তবে কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। কেউ পরে এ নিয়ে মুখও খোলেননি। তবে সেই সভায় উপস্থিতরা বলছেন, দূর থেকে যে টুকু মনে হয়েছে, তাতে দিদি ও যোগীর মধ্যে নিছকই সৌজন্য বিনিময় ছিল রাজধানীর ওই সভায়।
‘চিফ মিনিস্টার্স-চিফ জাস্টিসেস কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি’-- এই সভায় যোগ দিতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়া। তার মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর। অরবিন্দ কেজরীবাল গিয়েছিলেন মমতার সঙ্গে দেখা করতে। তবে তার চেয়েও বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে দিদি-যোগী সাক্ষাৎ। যদিও খুব বেশি সময় কথা হয়নি দু’জনের। তবে যে টুকু সময় ছিলেন, তাতেই কৌতূহল চরমে ওঠে অন্যদের। ঝলসে ওঠে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। শুধু সংবাদমাধ্যমই নয়, বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মমতা ও যোগীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab deb), হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। একটা সময় আবার মমতা ও যোগীর মাঝে এসে দাঁড়ান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Puskar Singh Dhami)।