২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে (26 January Republic Day) কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢেকে ফেলা হয়েছে দেশকে। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে। আশঙ্কা আছে স্পর্শকাতর এলাকায় মাওবাদী আক্রমণেরও। এরই মধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লিতেও (National Capital New Delhi) বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
কুচকাওয়াজে (Republic Day Parade) আসা অতিথিদের উপরেও বিশেষ নজরদারি করা হবে। পরীক্ষা করা হবে অনুষ্ঠানে আসা প্রত্যেক অতিথির গাড়ি। রাজধানীর সব বড় রাস্তায় ফেস রেকগনিশন সিস্টেম (Face Recognition System) লাগানো হয়েছে। এই সিস্টেমে ৫০ হাজার অপরাধীর ডেটাবেস বসানো আছে। যার ফলে ওই ব্যক্তি নির্দিষ্ট ক্যামেরার সামনে এলেই সতর্ক হয়ে যাবেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কুচকাওয়াজে অতিথিদের জন্য ছটি এন্ট্রি পয়েন্ট ও ১৬টি ব্রিজে ৩০টি ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই এন্ট্রি পয়েন্ট পেরোতে গেলেই ফেস রেকগনিশন ক্যামেরায় ধরা পড়বে অতিথিদের মুখ। সন্দেহভাজন কেউ ঢুকলেই সঙ্গে সঙ্গে লাল আলো (Red Light) জ্বলে উঠবে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে গাড়ি দুর্ঘটনার বলি বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ৭
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য আরও ব্যবস্থা মজুত করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। অতিথিদের ওপর নজর রাখবে ৫০০-এর বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা। এবার রাজধানীতে নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে ৬৫ কম্পানি আধাসেনা সহ প্রায় ৩০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। যাদের মধ্যে আছেন কমান্ডো, শার্প-শুটার ও প্যারামিলিটারি ফোর্স। দিল্লি পুলিশের ৭১ জন ডিসিপি, ২১৩ জন এসিপি ও ৭৫৩ জন ইন্সপেক্টর কুচকাওয়াজের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
ইন্ডিয়া গেট থেকে রাইসিনা হিল (India Gate to Raisina Hill) চত্বরে কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম লাগিয়ে এয়ার স্পেসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ যেমন চলছে চলবে। তবে সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা রাজধানীর গেস্ট হাউজ, হোটেল, ধর্মশালাগুলো তল্লাসি শুরু করেছে। ভাড়াটে, কাজের লোক বা শ্রমিকদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে। যেসব ছোট ছোট ইনপুট পাওয়া যাচ্ছে, প্রতিবেশী রাজ্যের সন্ত্রাস মোকাবিলা টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের বর্ডার এলাকাগুলোতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। রাজধানীর বাসিন্দাদেরও আলাদা করে সতর্ক করছে দিল্লি পুলিশ। অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লেই তা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়।