বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা শেখ হাসিনার। সোমবার দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে গণভবন ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হাসিনার বায়ুসেনার কপ্টারটির দায়িত্বে এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি বাংলাদেশের ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য। সোমবার বিকেলে গাজিয়াবাদে নেমেছে শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার। ভারতীয় বায়ুসেনার হ্যাঙারে রাখা হয়েছে তাঁর কপ্টার। সূত্রের খবর, দিল্লিকে প্যাসেজ হিসেবে ব্যবহার করে লণ্ডনে যেতে পারেন তিনি। তবে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য এখনও স্পষ্ট নয়।
সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব ও বাংলাদেশে প্রাক্তন হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন স্রিঙ্গলা জানিয়েছেন, ভারত তাঁর কাছে অন্যতম সুরক্ষতি জায়গা। তাঁর মতে, " এই রাজনৈতিক অস্থিরতায় শেখ হাসিনা কোথায় থাকবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। মুজিবর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৭৫-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ভারতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ভারত কখনও প্রতিবেশী দেশকে ফেরায়নি। কিন্তু আমার যতদূর মনে হয়, যে কোনও দেশেই যেতে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়।"
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তগুলিতেও চলছে কড়া নজরদারি।