দিল্লির হত্যাকাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে । সম্প্রতি জানা গেল, শ্রদ্ধা যে মাসে খুন হয়েছিল অর্থাৎ মে মাসে অ্যাপেক্স হাসপাতালে এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালা । ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন,আফতাবের শরীরে ছুরির ক্ষত ছিল । তার চিকিৎসার জন্যই এসেছিল আফতাব ।
ডাক্তার অনিল কুমার জানান, পুনাওয়ালা যখন তার কাছে এসেছিল, তখন তাঁকে খুব আক্রমনাত্মক এবং অস্থির দেখাচ্ছিল । চিকিৎসার সময় আঘাতের কীভাবে লাগল, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুনাওয়ালা দাবি করে, ফল কাটতে গিয়ে সে আঘাত পেয়েছিল ।
অনিল কুমারের কথা, "তখন মে মাসে । সকালবেলা । আমার সহকারী জানায়, এক ব্যক্তি গভীর ক্ষত নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছে । আমি দেখলাম যে তার ক্ষত গভীর নয় । তবে,আঘাত ভালই ছিল । আঘাত কীভাবে লাগল, যখন পুণাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন সে উত্তর দেয় ফল কাটতে গিয়েই এমনটা হয়েছে ।" তার আঘাত দেখে পুণাওয়ালার উত্তরে খুব একটা সন্দেহ হয়নি চিকিৎসকের ।
চিকিৎসক জানান,যখন আফতাবের সঙ্গে কথা হয়, তখন তাকে দেখে বোঝাই যায়নি যে সে এরকম একটা ঘটনা ঘটাতে পারে । আফতাব তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিল । সেইসময় তাকে খুব আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল । ইংরেজিতেই কথাবার্তা বলছিল সে । আফতাব তাকে জানায়, সে মুম্বই থেকে এসেছে । কারণ দিল্লিতে আইটি সেক্টরে ভাল কাজের সুযোগ রয়েছে । এমনকী, আফতাবের বিষয়ে তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন অনিলবাবু । তখনও ভাবতে পারেননি যে, আফতাব এমন ঘটনা ঘটাতে পারে । পুলিশ ঘটনাটি জানানোর পরই হতবাক হয়ে যান চিকিৎসক ।