আগেও বন্ধুকে মেসেজ করে বিপদের কথা জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। উদ্ধার না করলে প্রেমিক আফতাব তাঁকে খুন করতে পারে বলেও ভয় ছিল শ্রদ্ধার। সে রাতে মেসেজ পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বন্ধু। কিন্তু পরে তা আর সম্ভব হয়নি। শেষপর্যন্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাতে শ্রদ্ধা খুন হন বলে অভিযোগ। এমনকি, খুনের পর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয় খুনি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
শ্রদ্ধার সেই বন্ধু লক্ষণ জানান, "লিভ-ইন পার্টনার আফতাবের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত শ্রদ্ধার।" একরাতে আফতাবের থেকে তাঁকে বাঁচানোর মেসেজ করেন শ্রদ্ধা, জানান লক্ষণ। মেসেজ পেয়ে জনা কয়েক বন্ধুর সাহায্যে তাঁকে বাঁচিয়েও আনেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। লক্ষণের আরও দাবি, থানায় যাবেন বলেও আফতাবকে শাসিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শ্রদ্ধার কথা ভেবেই থানায় যাননি বলে জানান ওই বন্ধু। কিন্তু তারপর প্রায় দু'মাস কেটে গেলেও আর যোগাযোগ করেননি শ্রদ্ধা। ফলে চিন্তায় পড়ে যান লক্ষণ। পরবর্তীতে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শ্রদ্ধার পরিবারকে লক্ষণ জানান, প্রায় আড়াই মাস ধরে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। মোবাইলও সুইচড অফ। অবশেষে নভেম্বরে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার পুলিশের দ্বারস্থ হন। আফতাবের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথাও জানান দিল্লি পুলিশকে।
এনডিটিভি-র প্রতিবেদন বলছে, বছর ২৬-এর শ্রদ্ধার সঙ্গে মাস ছয়েক আগে ১৮ মে, আফতাবের অশান্তি হয়। এরপরেই তাঁকে গলা টিপে খুন করে আফতাব। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টা টুকরো করে ফেলে আফতাফ। তারপর সে সব সংরক্ষণের জন্য একটি ফ্রিজ কেনে আফতাফ। খুনের পর ১৮ দিন নিজের ঘরের ফ্রিজেই রাখা ছিল প্রেমিকার দেহের সব টুকরো। তারপর দিল্লির নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেসব।