দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি পুলিশ । এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে বের করা । ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত শরীরের ১৩টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে । বেশিরভাগই হাড় । এখনও ,মাথা, ধড় কিংবা শরীরের অন্য কোনও অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা দেখে শ্রদ্ধাকে সনাক্ত করা যেতে পারে । মেহরাউলি জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । কিন্তু, এত বড়, ঘন জঙ্গলে শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ ।
দিল্লি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন,তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে প্রমাণ উদ্ধারের জন্য একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে । এই মুহূর্তে,মামলার তদন্ত কিন্তু আফতাবের স্বীকারোক্তির উপর নির্ভর করে হচ্ছে । সে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করতে পারে । পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ছয় মাস আগে শ্রদ্ধাকে হত্যা করা হয় । এতদিন পর ঘটনা সামনে এসেছে । সেক্ষেত্রে, মামলার তদন্ত নেমে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তাঁদের । মেয়ের দেহের অংশগুলি উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার, পুলিশের সঙ্গে শ্রদ্ধার বাবা এবং ভাইও মেহরাউলি জঙ্গলে গিয়েছিলেন । সেখানে থেকে তাঁরা শুধু সন্দেহভাজন একটি শরীরের অংশ উদ্ধার করেছেন ।
যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব, এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ । পাশাপাশি, খুনের সময় আফতাবের রক্তমাখা জামারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । জেরা চলাকালীন আফতাব পুলিশকে জানায়, আবর্জনার ভ্যানে সে তার রক্তমাখা জামাকাপড় ফেলে দিয়েছিল । এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে । ল্যাব রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে । বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এত মাসের ব্যবধানে ঘন জঙ্গলে যেকোনও মানুষ বা প্রাণীর মাংস পচে যেতে পারে বা অন্য কোনও প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে, সেক্ষেত্রে দেহের অংশগুলি খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন । দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধা ও আফতাবের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।