বিবাহ বিচ্ছেদের পর খোরপোশের দাবি করেন অনেকেই। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত খোরপোশের কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিল না। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হাইকোর্ট এবং নিম্নআদালতগুলি মোট আটটি মানদণ্ডের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা যেন বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীর খোরপোশের পরিমাণ নির্ধারণ করে।
বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি প্রসন্ন ভি ভারালের বেঞ্চ আটটি মানদণ্ডের কথা জানিয়েছে। বিবাহ বিচ্ছিন্ন মামলার খোরপোশের নির্দেশ দেওয়ার আগে ওই আটটি মানদণ্ডের বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিবেচনা না করে দাবি মতো খোরপোশ দেওয়া যাবে না।
কোন কোন মানদণ্ডের কথা জানানো হয়েছে?
১) স্বামী-স্ত্রীর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা
২) স্ত্রী এবং সন্তানদের ন্যূনতম চাহিদা কী কী
৩) স্বামী ও স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
৪) আয়ের উৎস এবং উভয়ের সম্পত্তির পরিমাণ
৫)স্ত্রীর জীবনযাত্রার মান
৬) স্ত্রী চাকরি ছাড়লে তার কারণ কী?
৭) আইনি লড়াই চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ
৮) স্বামীর অনান্য খরচ, আয় এবং আর্থিক সম্পত্তি
বুধবার বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলা শুনছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেখানে এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ বাবদ ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলার সূত্রেই ওই আট মানদণ্ডের কথা জানায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মী আত্মহত্যা করেন। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গোটা দেশে। দাম্পত্যকলহের মামলায় উত্তরপ্রদেশের পারিবারিক আদালতের রায় ওই কর্মীর বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারপরই ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মহিলাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য ৪৯৮ (A) ধারা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এই ধারা অপব্যবহারের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।