সুপ্রিম কোর্টে সোমবার ফের আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানি শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন। শুনানির ৪২টি পক্ষের ২০০ জনের বেশি আইনজীবী অংশ নেবেন। সোমে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী কী বিষয় উঠে আসতে পারে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ বার আরজি কর মামলার শুনানি হয়। সেদিন আদালত খোলার পর প্রথম মামলাই ছিল আরজি করে ঘটনা। গত কয়েকটি শুনানিতে তাই হয়েছে। এই প্রথম মামলার শুনানি হবে দুপুররে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী অসুস্থ থাকায় শুনানির দিন পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়। সোমবার শীর্ষ আদালতের ৪২ নম্বর মামলা হিসেবে আরজি কর মামলা উঠবে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করে। তদন্তের গতিতে সন্তোষপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কিন্তু রিপোর্টে কী আছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তে সিবিআইকে সময় দিতে হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি কতদূর, তা খতিয়ে দেখা হতে পারে।
গত শুনানিতে রাজ্য সরকারের 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। হাসপাতালের নিরাপত্তায় বেসরকারি সংস্থার বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগেও আপত্তি জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ ছিল, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। মহিলা চিকিৎসকরা সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গেলে বায়োমেট্রিক নেওয়া দরকার। নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্যসচিবকে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্য এই পদক্ষেপের জন্য ১৪ দিন সময় নিয়েছিল। পাশপাশি উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার ছবি ও নাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কাজের অগ্রগতি লিখিত আকারে জানাতে পারে রাজ্য।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরই ফের নিরাপত্তা নিয়ে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে কী জানাচ্ছে, তার উপরেই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া পূরণে সদিচ্ছা না দেখালে, ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে যেতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা।