আরজি কর শুনানিতে এবার সিভিক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য। মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, কোনও স্কুল, হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না।
এদিনের আরজি কর শুনানিতে শীর্ষ আদালতে পঞ্চম স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যে রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, আরজি করের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ অভিযুক্ত কীনা, তার তদন্ত চলছে। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, সরকারি প্রকল্পে কেন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হবে ?
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে ? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের ? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন ? তার জবাবে আদালতকে রাজ্য জানায়, সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেই সিভিক নিয়োগ করা হয়।
রাজ্যের জবাব প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তাঁর নির্দেশ, রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে কী ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ হয় ? তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ? নিয়োগের আগে কী ভাবে তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হয় ? কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন ? সিভিক ভলান্টিয়ারকে কী ভাবে বেতন দেওয়া হয়, কত বাজেট বরাদ্দ করা হয় ?
এর পাশাপাশি আরজি কর মামলায় অন্যান্য বিষয়ে রাজ্যের সামনে সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, জুনিয়র ডাক্তাররা কি কাজে ফিরেছেন ? তাতে রাজ্য কার্যত সম্মতি জানিয়েছে। দীপাবলি কাটিয়ে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।