উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। এবার সেই মামলা এবার খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।
উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। রাজ্য সরকারের ওই নিয়োগ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী। এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাই জট তৈরি হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে সেই জট কাটল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই উচ্চ প্রাথমিকের মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ১৪ হাজার শূন্যপদে কলকাতা হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাই বহাল থাকবে। নিয়োগপত্র দিতে কোনও বাধা নেই। সুপ্রিম কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
গত ২৮ অগাস্ট হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করবে। আদালতের এই রায়ে ৮ বছর পর ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করে এসএসসি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হওয়ায় নিয়োগের কাজ ফের থমকে যায়।
এই মামলায় নিয়োগের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও ছিল। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সাল থেকে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বার বার নাক গলানো উচিত নয়। বাম ও বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল।"
২০১৫ সাল থেকেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। হাই কোর্টের নির্দেশে ১৪ হাজার পদে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। ২০২০ সালে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে উচ্চ আদালত। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশে অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। তখনও ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করলেও কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসি। গত অগাস্টে নতুন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় বিচারপতি চক্রবর্তী ও বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।