পনেরো দিন আগে থেকে একটু একটু করে সুতপাকে খুনের ছক কষেছিল সুশান্ত চৌধুরী, শেষ ক'দিন বহরমপুরে একটি মেসে থাকত। শুক্রবার ভোরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়। তার পরে সুশান্ত সব কথা খুলে বলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত সুশান্ত রুটিমহল রোডের একটি মেসে ছিল। মেসের মালিককে সুশান্ত জানায় শিক্ষককের কাছে পড়তেই সে বহরমপুরে থাকতে চায়। ছ’শো টাকা ভাড়াও আগাম দিয়েছিল। সঙ্গে শুধু একটি ব্যাগ ছিল। কৌশিকবাবু বলেন, ঘরের জানলা বন্ধ থাকত। মোবাইল নিয়ে নাড়াঘাটা করত।” চৌকির উপরে এখনও পড়ে রয়েছে আধখাওয়া বিড়ির টুকরো।
সোমবার সন্ধেবেলা সে মেসের মালিককে ‘আসছি’ বলে বেরিয়ে সুতপার মেসের কাছে বকুলতলার একটি বন্ধ চায়ের দোকানের ধাপিতে বসে সুতপার জন্য অপেক্ষা করছিল। সুতপা মেসে ঢোকার আগেই তার উপরে চড়াও হয় সে।
খুনের পরে সুশান্ত মেসবাড়ির পাশের পাঁচিল টপকে চৌধুরী ভিলার পাশের রাস্তা দিয়ে উঠে টোটোয় ফের নিজের মেসে ফেরে।মেসে ফিরে পোশাক বদলে ‘ঘর পেয়েছি’ বলে বেরিয়ে পড়ে। পুলিশের ধারণা, দু’জনেরই পরিচিত কোনও এক জন এই ঘটনায় জড়িত। তার খোঁজ চলছে।