মাঙ্কিপক্স নয়, কিন্তু শরীরে মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) মতোই উপসর্গ। তেলাঙ্গানার (Telangana) এক ৪০ বছরের ব্যক্তি জ্বর নিয়ে ভর্তি সরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তিনি তেলাঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার বাসিন্দা। সম্প্রতি কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। হাসপাতালে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
৬ জুলাই কুয়েত থেকে ভারতে ফেরেন ওই ব্যক্তি। ২৩ জুলাই, তাঁর শরীরে ওই উপসর্গ দেখা যায়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেখাতে যান তিনি। সেখান থেকেই কামারেড্ডি জেলার সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৬ জনকেও নজরে রাখছেন।
এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩জনই কেরালার বাসিন্দা। সম্প্রতি দিল্লিতেও ধরা পড়েছে মাঙ্কিপক্স। শনিবার WHO সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স গোটা বিশ্বের কাছেই চিন্তার বিষয়। এখনও পর্যন্ত ৭৫টি দেশে সংক্রামিত হয়েছে মাঙ্কিপক্স।
WHO জানিয়েছে, মানুষের সংষ্পর্শেই সংক্রামিত হয় মাঙ্কিপক্স। শরীর থেকে নির্গত ঘাম, চামড়ার ক্ষত, নাক, মুখ থেকে নির্গত কোনও পদার্থ, নিঃশ্বাস- সব কিছু থেকেই সংক্রামিত হতে পারে মাঙ্কিপক্স। এছাড়াও, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর বিছানার চাদর, জামাকাপড়ও ভাইরাস ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: কেরালার পর এবার দিল্লি, বিদেশে না গিয়েও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এক ব্যক্তি
মাঙ্কিপক্সের প্রভাবে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে টান, পিঠে যন্ত্রণা, এনার্জি কমে যাওয়া, হাত-পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ হয়। চামড়ার ব়্যাশও হতে পারে। হাতের তালু, পায়ের নিচে, মুখের ভিতর, গোপনাঙ্গতেও ব়্যাশ এর কারণ।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ১৫,৬০০ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী মাঙ্কিপক্সে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, গ্রেট ব্রিটেন ও আমেরিকাতে।