শনিবার রাজ্যে নিয়ে আসা হবে মণিপুরের ধসে নিহত ১০ জওয়ানের দেহ। নিহতদের মধ্যে আছেন দার্জিলিঙের নয় বাসিন্দা। একজন জলপাইগুড়ির। সূত্রের খবর এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক যুবকের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য়ে ইতিহাসের এই ধসের ঘটনাকে সবচেয়ে খারাপ ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
ঘটনাস্থল ঘুরে বীরেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৮১ জনকে তাঁরা হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্য়ে ১৮ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রায় ৫৫ জন এখনও ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে আরও দু থেকে তিন দিন সময় লাগবে। মুখ্য়মন্ত্রীর দাবিতে স্পষ্ট এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
শুক্রবারই রাজ্যের জওয়ানদের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধারের কাজে ইতিমধ্যেই সেনা নামানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের দেহ সসম্মানে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এখনও ১৫ জন জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ ২৯ জন বাসিন্দাও। তাঁদের উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার টুপুল রেল স্টেশনের কাছে ধস নামে। সেখানেই ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্প ছিল। খবর পেয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।