বাঙালি তথা ভারতীয়দের বারো মাসে তেরোশো দিবস। ২৩ জানুয়ারিই বা পিছিয়ে থাকবে কেন! সমস্ত ভারতবাসীর কাছে আজন্মলালিত এই দিনটিকে ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Bloc) এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) পরিবারের সদস্যরা চেয়েছিলেন এই দিনটি পালিত হোক ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি ছিল, এই দিনে পালিত হোক ‘দেশনায়ক দিবস’। এই দুই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ (Parakram Diwas) বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র।
যা নিয়ে ওই সময় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। তবে, একেবারে সাধারণ মানুষদের এইসবে বোধহয় কিছুই যায় আসে না। তাঁদের কাছে তো সুভাষ চন্দ্র বসু ‘দেশনায়ক’-এর শিরোপা পেয়ে গিয়েছেন প্রায় এক শতাব্দী আগেই! ‘নেতাজি একদিন ঠিকই ফিরে আসবে’ এই আশায় যাঁরা বহু বছর বুক বেঁধেছিলেন, তাঁদের মধ্যে জীবিত কেউ কেউও নিজেদের মতো করে ঠিকই সামিল হবেন তাঁর জন্মদিবস পালনে।
আরও পড়ুন- Netaji 125th birth anniversary: দিল্লি চলো! নেতাজি সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজের অমর বীরগাথা
১৯৪৫ সালের অগস্ট মাসের নেতাজির অন্তর্ধানের ঠিক ৫ মাস বাদে তাঁর অনুপস্থিতিতে রেঙ্গুনে পালন করা হয়েছিল ‘নেতাজি জয়ন্তী’। সেই ট্র্যাডিশন গত ৭৭ বছর ধরে সমানেই চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম এবং ঝাড়খন্ডে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও এই দিনটিতে বরাবরই বিশেষভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় এই দেশনায়কের উদ্দেশে।
২০২২ সালটি একটি বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সুভাষচন্দ্রের (Subhash Chandra Bose) ১২৫ বছর পূর্ণ হবে এই ২০২২-এই। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব সরকারি মহলে। ওই আবহের মধ্যেই শুক্রবারই ইন্ডিয়া গেটে বিশাল নেতাজি মূর্তি (Subhash Chandra Bose) স্থাপন করার কথাও ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।