ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২৩৮। শনিবার সরকারি ভাবে একথা জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। আহত কমপক্ষে ৯০০। এদিন সকাল থেকেই বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। মূলত দুমড়ে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরা থেকেই দেহ উদ্ধার হচ্ছে বলেই দাবি উদ্ধারকারীদের। সকাল হতেই বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের আসল ছবিটা ফুটে ওঠে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় একটি বাড়ির উঠনো সাজিয়ে রাখা আছে থরে থরে লাশ।
ভোর হতেই ফুটে উঠল আসল ছবি। ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনে দেখা গেল, প্রায় একটা বিরাট অংশ জুড়ে পড়ে রয়েছে ট্রেনের কামরার দোমরানো বগি। মালগাড়ির মাথার উপর উঠে গিয়েছে আপ করমণ্ডলের ইঞ্জিন। মাটিতে দলা পাকানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে বেঙ্গালরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া বগি। গ্যাস কাটার, ক্রেন এই সব দিয়েই চলছে উদ্ধারের কাজ। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ প্রথম পাঁচটি বগি। যেখান থেকে এখন শুধু মৃতদেহ বার করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, শুক্রবার ঘটনার পর থেকেই কার্যত অন্ধকারের মধ্যেই তাঁদের কাজ শুরু করতে হয়েছিল। কারণ এই এলাকা বেশ প্রত্যন্ত। গ্রামবাসীরাই প্রথমে এগিয়ে এসেছিলেন উদ্ধারের কাজে। কিন্তু ঘটনার অভিঘাত দেখে তাঁরাও থমকে যান। তবুও সাধারণ কামরা থেকে গ্রামবাসীরা আহত যাত্রীদের নামার কাজ শুরু করেন।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি প্রতিটি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।