সীতারামেই আস্থা সিপিএমের। কেরলের কান্নুরে সিপিএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তাঁর নামেই আরও একবার সিলমোহর বসানো হল। যদিও, পার্টির সর্বোচ্চ পদে রদবদলের তেমন কোনও ইঙ্গিত ছিল না। তবু, গত কয়েকদিনের আলোচনার শেষে উল্লেখযোগ্য ভাবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় স্তরেও খোলনলচে বদলে ফেলা হল। পরিস্কার বুঝিয়ে দেওয়া হল, নতুন মুখ নিয়ে, নতুন লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে লাল পার্টি। বাংলায় যেমন রাজ্য কমিটিতে সৃজন, মীণাক্ষি, ঐশি, দীপ্সিতাদের এনে চমক দেওয়া হয়েছে। ঠিক সেইভাবে দিল্লি এ কে গোপালান ভবনেও সেই একই ধারায় এবার পক্ককেশের নেতাদের অব্যাহতি দেওয়া হল। সেই তালিকায় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য নাম রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবসু।
কেমন হল পার্টি কংগ্রেসের পর সিপিএমের নতুন রূপ। কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে জায়গা পেলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার শমীক লাহিড়়ি, নদিয়ার সুমিত দে এবং জঙ্গলমহলের লড়াকু নেত্রী ও রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রম। বাদের তালিকা অবশ্য এবার বেশ দীর্ঘ। সেই তালিকায় আছেন, বিমান বসু, নৃপেন চৌধুরী, মিনতি ঘোষ, মৃদুল দে। সিপিএম পলিটব্যুরোতে বিমানের বদলি এবার রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম।
নতুন যে সদস্যরা বাংলা থেকে জায়গা করে নিলেন তাঁদের মধ্যে দুজনই দুই জেলার সম্পাদক। শমীক লাহিড়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক এবং সুমিত দে নদিয়ার। বয়সের কারণে পলিটব্যুরোর সদস্যপদ ছাড়তে হল বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসুকে। তবে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকবেন তিনি। ১৭ জনের পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়লেন কৃষক নেতা হান্নান মোল্লাও। তাঁর জায়গায় ঢুকলেন অশোক ধাওয়ালে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সদস্য সংখ্যা কমেছে। তাই এ রাজ্য থেকে সদস্য সংখ্যা কমে গেল। আগে বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন ১৪ জন। এবার সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২ জন। কেরল, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ু থেকে বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা। ফলে দক্ষিণের দাপট বাড়ল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
তবে চমক অন্য জায়গায়। এই প্রথম সিপিএম পলিটব্যুরোতে থাকবেন তিন জন মহিলা। বৃন্দা কারাট এবং শুভাসিনি আলি আগেই ছিলেন, এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন শ্রমিক নেত্রী ও সিটু সভাপতি কে হেমলতা।