রান্নার গ্য়াস, জ্বালানির দাম, মূল্যবৃদ্ধি, এসব কিছুই ছিল। তারসঙ্গে এবার যোগ হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েদিল, সুপারিশ মেনেই কমানো হচ্ছে ইপিএফও-র সুদের হার। ফলে দেশের ৬ কোটির বেশি চাকুরিজীবীর পকেটে ফের টান পড়ল। এতদিন ৮.৫ শতাংশ হারে ইপিএফও থেকে সুদ পাওয়া যেত। এবার থেকে সুদ মিলবে ৮.১ শতাংশ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ দেশের চাকুরিজীবীরা। পরিসংখ্য়ান বলছে, গত ৪০ বছরে এই প্রথম ইপিএফও-র সুদ এতটা কমে গেল।
ঠিক কী কারণে কমল সুদের হার। গত মার্চ মাসে বৈঠক করেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। ওই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল, নয়া অর্থবর্ষে ৮.৫ শতাংশের বদলে ইপিএফও-র সুদের হার করা হোক ৮.১ শতাংশ। শুক্রবার সেই সুপারিশই মেনে নেওয়া হল। এই সিদ্ধান্তের ফলে চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে অনেটাই টান পড়বে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে এটা প্রথম নয়। ২০১৪ সালে দিল্লি মসনদে মোদী সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকেই ইপিএফও-র সুদের হার নিম্নমুখী। করোনার সময় সুদের হার হয়েছিল ৮.৫ শতাংশ। এবার আরও কমে গেল।