ছিল কোভিড (Covid-19) বৈঠক। কিন্তু তার ফাঁকে সুকৌশলে জ্বালানির (Fuel) উপর থেকে ভ্যাট কমাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী (Narendra Modi)। এ মাসের ৩০ তারিখ দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (Priem Minister) সঙ্গে বৈঠক করার আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে পেট্রোলের উপর থেকে ভ্যাট কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু মমতাকে নয়, প্রধানমন্ত্রী এই একই অনুরোধ করেছেন আর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে । তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কথায় মান্যতা দিয়ে কিছু রাজ্য পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমিয়ে মানুষের সুবিধা করেছে। কিন্তু আমি জানি না পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ কেন এই ভ্যাট কমায়নি।’’ তবে তিনি কারও সমালোচনা করার জন্য এই কথা বলছেন না বলেও উল্লেখ করেন মোদী।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকে লাগাতার বেড়েছে জ্বালানি দাম। গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারল পিছু বাড়ার জেরে ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে টাকার অঙ্কে একশো ছাড়িয়েছে ডিজেল। বাকি রাজ্যগুলিতেও নব্বইয়ের কোঠায় ঘোরাফেরা করছে ডিজেলের দাম। ডিজেল শতরান করার অনেক আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল পেট্রোল।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে জ্বালানির উপর থেকে কমানো হয়েছিল ভ্যাট। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি প্রায় ১০ টাকা ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছিল। উল্টে, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উপর তারা ১ টাকা করে সেস লাগু করেছিল। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র জ্বালানির উপর থেকে কোনও ভ্যাট কমায়নি।
এই ব্যাপারে রাজ্যের নীতি খুব স্পষ্ট। রাজ্যের দাবি, জ্বালানি কেন্দ্রের বিষয়। কেন্দ্র নিজে থেকে জ্বালানির উপর ভ্যাট না কমালে, তাদের হাতে কিছু নেই। তাই বারবার জ্বালানির উপর থেকে ভ্যাট কমাতে এতদিন কেন্দ্রকেই অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার করোনা বৈঠকের ফাঁকে সুকৌশলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জ্বালানির উপর থেকে ভ্যাট কমাতে অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।