ব্যাটল গ্রাউন্ড বারাণসী (Varanasi) । বৃহস্পতিবারের বারবেলায় এই শহরেই মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দিল্লির রাজনীতিতে মমতাই এখন মোদী বিরোধী মুখ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই তত্ত্ব কংগ্রেস (Congress) মানুক বা না মানুক, অ-বিজেপি দলগুলির কাছে গত কয়েক মাসে মমতার প্রাসঙ্গিকতা এখন অনেক বেশি। তাই হোক না উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Uttar Pradesh) প্রচার, ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনকে (Lokeshabha vote) মাথায় রেখেই সুকৌশলে এই বারাণসীকে প্রচারের হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল নেত্রী (Tmc suprimo)। আর তাই বৃহস্পতিবার বারাণসী থেকেই কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বিধানসভা নির্বাচনে একটা বিগ্রেডে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর ভোট প্রচারে একাধিবার রাজ্যে এসেও কলকাতা বা ভবনীপুর সংলগ্ন কোনও জায়গায় জনসভা করেননি নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ভোটের মধ্যেই সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের হাত শক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীকে বেছে নিয়েছেন মমতা। ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার লখনউয়ে প্রচার করতে গিয়ে মমতা দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে পারলে গোটা দেশেও বিজেপিকে হারানো সম্বভ। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, বৃহস্পতিবার বারাণসীর জনসভা থেকেও বিজেপিকে হারানোর ডাকই উত্তরপ্রদেশের জনতার সামনে রাখতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন : জানা সত্ত্বেও কেন ভারতীয় ছাত্রদের আগে ফেরানো হয়নি, কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের সাক্ষী হয়ে বুধবার বিকেলেই বারাণসী উড়ে গিয়েছেন মমতা। বিমানবন্দর থেকে নেমে সোজা চলে গিয়েছেন গঙ্গার ঘাটে। সেখানেই বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটান তিনি। বারাণসীতে দীর্ঘ কাল ধরেই বহু বাঙালি বসবাস করেন। বাংলার সঙ্গে বারাণসীর যোগাযোগও বেশ ঘনিষ্ঠ। সে কারণেই অখিলেশের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছতে মমতা বারাণসীকেই বেছে নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ লোকসভা হোক বা ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট হোক বাংলায় একদিনে জনসভা করেছেন মোদী-মমতা। সবকিছু ঠিক থাকলে, বৃহস্পতিবার এই প্রথম বাংলার বাইরে সভা করতে চলেছেন দুই নেতা। বারাণসীতে তৃণমূল নেত্রীর সভার দিনেই প্রধানমন্ত্রীর সভা আছে জৌনপুর ও চাদুয়ালিতে।