সোমবারই দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের খাতা থেকে জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে আগামী ১০ বছর সাতটি সুবিধা হারাতে চলেছে এই রাজনৈতিক দল। বাংলা এবং মেঘালয়ের বাইরে অন্য কোনও রাজ্যে যদি তৃণমূল নির্বাচনে প্রার্থী দেয়, সেখানে নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। একইরকম ভাবে কোনও জাতীয় দলের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় একজন করে প্রস্তাবক পেয়ে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয় ছাড়া অন্য কোথায় এই সুবিধা আর পাওয়া যাবে না। ভোটের সময়ে জাতীয় দলের গোটা দেশেই ভোটার লিস্টের দু’টি কপি বিনামূল্যে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সুবিধাও শুধু পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ে পাবে তৃণমূল। রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় দল জমি বা বাড়ি পায় দলীয় দফতর বানানোর জন্য। সেই সুবিধা আর থাকবে না তৃণমূলের। ৪০ জনের বদলে ২০ জন তারকা প্রচারক হয়ে যাবে। পয়সা খরচ করেই ভোটের সময় টেলিভিশন এবং রেডিও-তে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু শর্তের মধ্যে একটি শর্তপূরণ করতে পেরেছিল। আর তা হল পর পর দুবার ক্ষমতায় ফিরেছিল তারা। প্রাথমিক ভাবে নিয়ম ছিল পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় দল কারা, তা ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ওই বছর সিদ্ধান্ত হয় পাঁচের বদলে তা ১০ বছর করা হবে।
ফলে, ২০৩৩ সালের আগে কোনও শর্তপূরণ করতে পারলেও তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা ফেরার কথা নয়। জাতীয় দলের মর্যাদা হারালে কোনও দল কয়েকটি সুবিধা পায় না। ফলে সেগুলি আপাতত মিলবে না তৃণমূলের।