বিবিসি'র দিল্লি ও মুম্বইয়ের কার্যালয়ে আয়কর হানা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শোরগোল ভারতের রাজনৈতিকমহলে। অন্যদিকে, আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটি 'হানা' নয়, 'সমীক্ষা'। কিন্তু, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?
আয়কর আইন-১৯৬১, ১৩৩এ ধারায় আয়কর দফতরের কাছে লুকোনো তথ্যের খোঁজে 'সমীক্ষা' চালানোর অধিকার রয়েছে। এই ধারাটি ১৯৬৪ সালের একটি বিল পাশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছিল। এই ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আয়কর দফতরের কোনও একজন আধিকারিক ব্যবসা বা অন্য কোনও পেশার কাজ চলছে বা কোনও চ্যারিটি সংক্রান্ত কাজ চলছে এমন স্থানে গিয়ে সেখানকার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সহ অর্থ-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাদি যাচাই করতে পারেন।
অন্যদিকে, আয়কর হানা, যার প্রভাব আয়কর সমীক্ষার থেকে অনেকটাই বেশি, সেটি আয়কর আইনের ১৩২ ধারায় চালানো হয়। অর্থ, আর্থিক তথ্যাদির কাগজপত্র, নগদ, গয়না ইত্যাদি প্রভুত পরিমাণে আছে বলে সন্দেহ করার কোনও যুক্তিগত কারণ থাকলেই এই আইনের অধিকারে যে কোনও জায়গায় হানা দেওয়া যাবে। তদন্তের স্বার্থে ভেঙে ফেলা যাবে সংশ্লিষ্ট জায়গাটির যে কোনও অংশ। তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা যাবে যে কোনও বস্তু।
সমীক্ষা ও হানার মধ্যে সবথেকে বড় দুটি পার্থক্য হল- সমীক্ষা চালানো যাবে কেবলমাত্র অফিস আওয়ার্সেই। অন্যসময় নয়। আর, আয়কর হানা দেওয়া যায় দিনের যে কোনও সময়। আয়কর সমীক্ষায় তদন্তের গণ্ডি কেবলমাত্র কাগতপত্র ও অর্থ সংক্রান্ত কিছু নথি এবং প্রশ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আয়কর হানায় তা নয়। আয়কর হানার সময় সাধারণত ঘটনাস্থলে পুলিশকে রাখতে হয়। আয়কর সমীক্ষায় যা বাধ্যতামূলক নয়।