উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন ১৮ কেজি। সাধারণত যাঁদের 'বামন' বলে বিদ্রুপ করে তথাকথিত সমাজ, তেমনই একজন মানুষ গুজরাটের গণেশ বারাইয়া৷ সেই মানুষটিই তৈরি করেছেন ইতিহাস৷ যাবতীয় প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে পাশ করেছেন এমবিবিএস। গোটা বিশ্ব এখন তাঁকে চিনছে 'সবচেয়ে খর্বকায় চিকিৎসক' হিসাবে।
ডাক্তার গণেশ বারাইয়ার জীবনসংগ্রামের গল্প শিহরিত হওয়ার মতোই৷ দুরারোগ্য অসুখে শরীরের ৭২ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু মেধাবী ছাত্র গণেশের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া। ৮৭ শতাংশ নম্বর, নিট (NEET) পরীক্ষায় ২৩৩ তম স্থান পেয়েও খুলছিল না মেডিক্যাল পড়ার দরজা। কম উচ্চতার জন্য গণেশকে অনুমতি দিচ্ছিল না গুজরাট সরকার এবং ভারতের মেডিক্যাল কাউন্সিল। কিন্তু গণেশ তো চিকিৎসক হবেনই৷ শিক্ষকদের সাহায্য আর প্রশ্রয়ে ভর করে তিনি দরবার করলেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। দ্বারস্থ হলেন হাই কোর্টের। সেখানেও জিততে পারলেন না৷ অবশেষে জয় এল সুপ্রিম কোর্টের। ২০১৯ সালে ভর্তি হলেন ডাক্তারি পড়তে৷ এমবিবিএস পাস করে তিনি এখন ভাবনগরের স্যার-টি হাসপাতালের ইন্টার্ন।
চিকিৎসক গণেশকে দেখে রোগীরা প্রথম দেখায় চমকে ওঠেন ঠিকই, কিন্তু খুব দ্রুতই গড়ে ওঠে পারস্পরিক যোগাযোগ। প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে আকাশ ছুঁয়ে ফেলা চিকিৎসকের স্বপ্ন লক্ষ লক্ষ রোগীর পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো।