নতুন বছরের শুরুতেও রীতিমতো গরম। কলকাতায় শীত এই বছর তেমন করে পড়লই না! এর মধ্যেই মৌসম ভবন জানিয়ে দিল, ১২৩ বছরের ইতিহাসে ২০২৩ সাল দ্বিতীয় উষ্ণতম বছরের তকমা পেয়েছে। তার আগে শুধু রয়েছে ২০১৬ সাল। তবে এই 'দ্বিতীয় উষ্ণতম' তকমার পিছনে গ্রীষ্মের অবদান বেশ কম। বরং অনেক বেশি অবদান বর্ষা এবং শীতকালের।
Ram Temple-Arun Yogiraj: বাছাই পর্ব শেষ, রাম মন্দিরে বসছে কোন শিল্পীর তৈরি ভাস্কর্য?
মৌসম ভবন বলেছে, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে প্রবল গরম ছিল না। মার্চ থেকে মে- ভরা গ্রীষ্মের এই তিন মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ০.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। কিন্তু শীতকালে, অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮৩ ডিগ্রি বেশি। বছরের শেষেও অবস্থা ছিল একই রকম। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি।
বর্ষার চার মাসেও দাপিয়ে ব্যাট করেছে গরম। ওই সময় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭৪ ডিগ্রি বেশি। অর্থাত্, বর্ষা আর শীতের উষ্ণায়নেই দ্বিতীয় উষ্ণতম বছরের তকমা পেল ২০২৩।
শীত এখনও পর্যন্ত রীতিমতো হতাশই করেছে এই বছর। ডিসেম্বরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামেনি। ২০১৭ সালের পর আর কখনও শীতের এমন দুর্দশা হয়নি৷ এর পরে কি শীত পড়বে? খুব আশার কথা শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস।