প্রবিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকা তোলার জন্য আর ঝক্কি পোহাতে হবে না। ATM কার্ডের মাধ্যমেই তোলা যাবে। এমনই পরিষেবা শুরু করতে চলেছে EPFO। EPFO 3.0 প্রকল্পের মাধ্যমেই এই নয়া পরিষেবা দেবে কেন্দ্র। সদ্য PAN কার্ড নিয়ে বেশ কিছু নতুন পরিষেবা ঘোষণা করা হয়েছে। এবার নতুন প্যান কার্ডে থাকবে QR কোড। প্রবিডেন্ট ফান্ডের পরিষেবা যাতে সহজে ব্যবহার করা যায়, তার জন্যই আপডেট আনছে কেন্দ্র। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আগামী বছর মে-জুন মাসেই এই পরিষেবা চলে আসবে।
বর্তমানে কর্মীরা তাঁদের বেতনের ১২ শতাংশ ইপিএফে বিনিয়োগ করতে পারত। নিয়োগকারী সংস্থাকেও ওই কর্মীর জন্য সমপরিমাণ টাকা ইপিএফে দিতে হয়। এবার নতুন প্রকল্পে কর্মীদের ইপিএফে বিনিয়োগে কোনও ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। অর্থাৎ কোনও কর্মী চাইলে পেনশনের খাতে বেশি হারে অর্থ রাখতে পারবেন। তবে নিয়োগকারী সংস্থার অংশ একই থাকবে। বর্তমানে এমন অনেক লোকই আছেন, যারা ইপিএফে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু ঊর্ধ্বসীমা থাকায় তা সম্ভব হয় না। সেই বাধা এবার আর থাকবে না।
ইপিএফও ৩.০ -এর অন্যতম এজেন্ডা এটিএম কার্ড। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের এটিএম অথবা ডেবিট কার্ডের মতোই কাজ করবে এই এটিএম। টাকার প্রয়োজন হলে এটিএম কিয়স্ক থেকে ইপিএফের কার্ড ব্যবহার করে তা লোন হিসেবে তুলতে পারবেন কোনও গ্রাহক। তবে পেনশনের টাকা তোলার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বলবৎ থাকছে। অর্থাৎ, ৫০ শতাংশের বেশি টাকা তোলা যাবে না।
বর্তমানে পিএফ গ্রাহকরা চাইলে চাকরির মেয়াদ শেষের আগে জমানো টাকার একটা অংশ তুলে নিতে পারেন। তবে তাতে বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণও দেখাতে হয়। চিকিৎসা, বাড়ি তৈরি, পড়াশোনার খরচ, বিয়ে, একাধিক কারণ দিয়ে আবেদন করতে হয় সাইটে। তাও সেই টাকা আসতে ১০-১২ দিন সময় লাগে। কখনও অ্য়াকাউন্টে টাকা ঢুকতে এক মাসের বেশি সময়ও লেগে যায়। প্রশাসনিক জটিলতা কাটানোর জন্যই এই উদ্যোগ। এবার এটিএমের মাধ্যমেই পিএফের টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রের এই প্রস্তাব কার্যকর হলে গ্রাহকদের হয়রানি অনেকাংশে কমবে।