রাজ্যে আরও ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলে নিতে অনুরোধ করলেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, আদালত যে ভাবে বলবে, সরকার সেই ভাবেই নিয়োগ করবে। আদালত নির্দেশ দিলে বেআইনীভাবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের- বার করে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর এই আশ্বাসে বরফ গলেনি। আন্দোলনকারীরা পাল্টা জানিয়েছেন, চাকরির প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন। তাই তাঁরা বিষয়টি মুখ্য়মন্ত্রীর থেকেই শুনতে চান।
ডিসেম্বরে নেওয়া হবে প্রাথমিকে টেট। আদালত নির্দেশ দিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে মাধ্যমিকেও। তারমধ্য়েই রাজ্যে আরও শিক্ষক নেওয়া হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। মঙ্গলবার তিনি জানান, রাজ্যে আরও ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তৈরি করা হবে আরও ১০ হাজার নতুন পদ। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকে প্রায় চার হাজার শূন্য়পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সেই নির্দেশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে, রাজ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে ওই চার হাজার থাকবে কীনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ব্রাত্য বসু। এই ঘোষণার সঙ্গেই চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন তিনি। ব্রাত্য জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলে রাজ্য বেআইনী ভাবে চাকরি প্রার্থীদেরও বার করে দেবে। এমনকী মেধাতালিকায় থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সুপার নিউমেরিক পদের ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে ১,৯৩২ সুপারনিউমেরিক পদ তৈরি হয়েছে। আরও ১,০৭৭ পদ তৈরি করা হবে। মোট পদ ৩,০০৯। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৪৭টি নিউমেরিক পদ তৈরি হয়েছে। আরও ২,৩২১ পদ তৈরি হবে।