বাংলাদেশের অশান্তিকে হাতিয়ার করে বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে এবার এই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্তকে কেন্দ্র করে কিছু সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সীমান্ত কোনও সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়নি। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের তরফে তাঁর কাছে কোনও বার্তা নেই।
এদিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দু দেশের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এদিনও এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করছেন, বিরোধী হিসাবে এই ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সদার্থক ভূমিকা তাঁদের।
সম্প্রতি বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায় যুদ্ধজিগির ছিল বলে দাবি করেছিল কূটনৈতিক মহল। কারণ, শুভেন্দুর দাবি ছিল, হাসিমারা থেকে বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান পাঠানো উচিত। এদিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দুর সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, বিজেপির উচিত পরিস্থিতিতে অহেতুক অগ্নিগর্ভ না করে ইস্যুটা কেন্দ্রের হাতেই ছেড়ে দেওয়া। কারণ, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাজ করছেন।
তাদের দেশে যে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়েছিল, তা এবার কার্যত স্বীকার করে নিল বাংলাদেশের উপদেষ্টা সরকার। সরকারি বিবৃতিতে দিয়ে জানাল হল, এখনও পর্যন্ত ৮৮টি মামলায় কমপক্ষে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হল। কূটনৈতিক মহলের দাবি, ভারত এবং আন্তর্জাতিক মহলের প্রবল চাপের কাছে অবশেষে বিবৃতি দিতে হল বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপর অভিযোগ কার্যত খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বাংলাদেশ গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। প্রথমে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসীমউদ্দিন এবং পরে উপদেষ্টা সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। ওই বৈঠকে দিল্লির বার্তা স্পষ্ট করেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব।