স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির রেশ এখনও কাটেনি। রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে এই ইস্যুতে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে রবিবার রাজ্য পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাওড়া ও সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করা হল মোট ১৫ জনকে। অভিযোগ ভুয়ো পরিচয় পত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল তারা। হাওড়া এবং সল্টলেক দু জায়গা থেকেই গ্রেফতার ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা বিহারের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে।
রবিবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল লিখিত পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল হাওড়া ব্যাঁটরার রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়। সেখানে পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেখানে জনা কয়েক প্রার্থীর নথিতে অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। পরীক্ষকদের কাছে তাঁরা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এর পিছনে বড়সড় কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিধাননগর লবন হ্রদ বিদ্যাপীঠ ও বিডি স্কুলে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে এডমিট কার্ড চেক করার সময় সাতজন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরীক্ষায় বসার আগে এডমিট কার্ড চেকিং চলছিল। ধৃতরা যে এডমিট কার্ড দেখায় তাতে নিজের নাম, বাবার নাম এবং বাড়ির ঠিকানা সঠিক জানাতে পারিনি। সেই সময় পুলিশের সন্দেহ হয়। দু জনকে আটক করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। বিহারের বাসিন্দা রূপেশ কুমার নদিয়ার বাসিন্দা ঝনটু মুন্ডার হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। মনিরাম সরকারের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল অচিন্ত্য বিশ্বাস। দুজনই অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল।