মাত্র ছয় দিন আগে চার হাত এক হয়েছিল তাঁদের। আর ছয় দিন পর পরিস্থিতি ৩৬০ ডিগ্রি বদলে গেল। ধূসর জীবনে লাল-নীল সংসারে স্বপ্ন দেখেছিলেন এই শহরের দুই এইচআইভি আক্রান্ত যুবক-যুবতী। কিন্তু তাঁদের সংসারের উপর এখন প্রবল চাপ। কারণ. যে স্কুলে ওই যুবক চাকরি করতেন, তাঁকে ওই স্কুল আপাতত না আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাতে স্কুলের সম্মানহানি হবে। ওই স্কুলের অভিযোগ, এইচআইভি লুকিয়ে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ওই যুবক। স্কুলের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তোপ ওই যুবকের। পাল্টা দাবি করে সমাজকে ধিক্কার জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় স্কুলের বিরদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ।
ওই যুবকের দাবি, তাঁকে স্কুলে ডেকে পরিস্কার বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত, তাঁকে স্কুলে আসতে হবে না। আপাতত ৯০ দিন পর্যন্ত তাঁকে স্কুল থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে তিন মাসের বেতন নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। যদিও এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ কলকাতার ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, আগে ছেলেটির চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। কারণ, আধুনিক সমাজে স্কুলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।