আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ। এবার বিধানসভার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের ধর্ষণ-বিরোধী অপরাজিতা বিলকে পূর্ণ সমর্থন করলেও, এদিন বিধানসভার অধিবেশনে কার্যত ঝড় তোলেন শুভেন্দু। পাল্টা জবাবী ভাষণে তাঁকে উত্তর ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্য সরকারের বিলকে সমর্থন করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, এই বিলকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব রাজ্যের। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। কামদুনি থেকে রাজ্যের একাধিক ধর্ষণের ঘটনার উদাহরণ এদিন বিধানসভায় তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর এই উদাহরণ বিধানসভায় রেকর্ড হবে না বলেই জানিয়েদেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, যে নথিকে তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই উদাহরণ দিয়েছেন, তা কোনও প্রামাণ্য নথি নেই।
এই বিলকে ঐতিহাসিক বলে নিজের জবাবী ভাষণ এদিন বিধানসভায় শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করেন এই বিলে যাতে রাজ্যপাল সই করেন, তার তদ্বির করতে। এরপরেও কাজ না হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর তোলা কামদুনি নিয়ে অভিযোগও এদিন বিধানসভায় উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও তিনি দাবি করেন, কামদুনির ক্ষেত্রেও রাজ্য ফাঁসির দাবিই করেছিল।
নিজের জবাবী ভাষণে আরজি করের ঘটনাই তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তিনি জানান, গত ৯ তারিখের ঘটনার পরেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। পুলিশের সাহায্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই ঘটনায় তিনি প্রথম থেকেই ফাঁসি সাজা চেয়েছেন। এমনকী, তিনি নিজে জানিয়েছিলেন তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হবে। এখন তিনি সিবিআইয়ের থেকে বিচার চাইছেন। ফাঁসি চাইছেন সিবিআইয়ের থেকে। কারণ, ধর্ষণ একটা জাতীয় ব্যধি।