৫০ দিন। তার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করতে হবে। এবং এরপরে দোষীদের কঠোরতম সাজা দিতে হবে। আরজি কর ঘটনায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ খুলে এই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরআগে এই ঘটনায় এনকাউন্টারের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। গত কয়েকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল, এই ইস্যুতে কেন তিনি নীরব। অবশেষে বৃহস্পতিবার ফের নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক।
তিনি জানিয়েছেন, গত ১০ দিনে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সুবিচারের দাবি করছে, তখনও দেশ জুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ৯০০ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৯০টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট লেখানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় চারটি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট দায়ের হয়েছে। অথচ এত কিছু সত্ত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না।
আরজি করের ঘটনায় গত ১৪ অগাস্ট প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল কলকাতার রাস্তায়। ওই দিন রাতেই হামলা হয় হাসপাতালের উপরে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ওই রাতেই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁর দাবি ছিল, দোষী যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এদিন অভিষেকের দাবি, ধর্ষণ আইন দ্রুত কার্যকর করতে রাজ্যগুলিকে এবার এগিয়ে আসতে হবে। চাপ দিতে হবে কেন্দ্রের উপরে। তবে এই দাবি জানাতে গেলে ফাঁকা বুলি চলবে না। এই ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যের সরকারের থেকে সদিচ্ছা দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।