আরজি করের ঘটনায় দ্রুত বিচার চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ১৫ দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে। গত ২৫ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে কেন্দ্র। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত নিয়ে ঘুরিয়ে রাজ্যের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর ঠিক সেই দিনেই দেশে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ধর্ষণ মামলা কী অবস্থা সেই তথ্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি করের ঘটনার পর এই নিয়ে তৃতীয় টুইট অভিষেকের। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি কোলাজ তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি দাবি করেন, দেশে এই মুহূর্তে ধর্ষণবিরোধী আইনের প্রয়োজন। কারণ, পরিসংখ্যান বলছে, ওই শিরোনামের কোথাও লেখা যোধপুরে মন্দিরের বাইরে শুয়ে থাকা তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের কথা। কোথাও লেখা অসমে ১৪ বছরের কিশোরীকে টিউশন পড়ে ফেরার পথে ধর্ষণ। আবার ওড়িশায় দুই রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আইসিইউয়ের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এই টুইটের পরেও দেশে ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইনের পক্ষেই সওয়াল করেছেন অভিষেক। নিজের ৫০ দিনের দাবি উপরে এদিনও অনড় থাকেন তিনি। কেন্দ্রের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, প্রায় ৪৮ হাজার মামলা এখনও পড়ে রয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে সদিচ্ছার অভিযোগ করা হয়েছে। পাল্টা অভিষেকের দাবি, ভারতে পুলিশের কাছে রিপোর্ট দায়ের হওয়া প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ২৬ জন দোষী সাব্যস্ত হন। বাকি ৭৪ জন ধর্ষণের শাস্তিই পান না।