এক গাল চাপ দাড়ি, জিম করা পেটানো চেহারা। এটাই তো জেন জির স্টাইল স্টেটমেন্ট। রণবীর কাপুর, রণবীর সিং থেকে ভিকি কৌশল বা বিরাট কোহলির মতো সেলিব্রিটিদের এই লুকই ট্রেন্ড। এতদিন এই গড্ডালিকা স্রোতে গা ভাসাননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এক্কেবারে অন্য লুকে দেখা গেল অভিষেককে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।
চকোলেট লুকের থেকে ট্রেন্ড বদল হয়েছে অনেকদিন। মাটো লুকের অন্যতম স্টাইল স্টেটমেন্ট পেটানো চেহারা, গালভরা দাড়ি। বুধবার মেয়ো রোডের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গেল তেমনই লুকে। সাদা শার্ট, কালো ফরমাল ট্রাউজার পরে আসেন অভিষেক। তবে ক্লিন শেভড নন, গাল ভর্তি দাড়িতেই দেখা গেল তাঁকে। চোখে কোনও চশমাও ছিল না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় হঠাৎ তাঁর লুক-বদল নিয়ে চলছে আলোচনা.
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর রাজনীতিতে ক্রমশ সক্রিয় হয়েছেন অভিষেক। তখন থেকে তিনি যুব তৃণমূলের দায়িত্বে। সাদা পাঞ্জাবি, চেহারাও ছিল গোলগাল। এরপর ২০১৪ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ডায়মন্ডহারবারের সংসদ হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে কড়া ডায়েটে মেদ ঝরিয়ে অন্য রূপে দেখা দেন অভিষেক। স্লিম, ক্লিন শেভড লুকে ক্রমশ তাঁর উপস্থিতি নজরে পড়ে। তৈরি হয় অন্যরকম ব্যক্তিত্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চশমার ফ্রেমও বদলান। পোশাক তেমন বদলাননি। কখনও নীল, কখনও কাল। আর জনসভাতে সাদা পোশাকই পরতেই দেখা যায় অভিষেককে।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের আগে আড়াই মাস ধরে নবজোয়ার কর্মসূচি করে তৃণমূল। তখন হালকা দাড়ি দেখা গিয়েছিল। বুধবার একেবারেই অন্য রূপে দেখা গেল অভিষেককে। একগাল চাপদাড়ি নিয়ে নবরূপে হাজির হলেন অভিষেক। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি যখন উত্তাল, তখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নতুন লুক নিয়ে চর্চা দলের সমর্থকদের।