বছর ২৫-এর শান্ত স্বভাবের মিষ্টি মেয়েটা ‘নেই’! ভাবতেই পারছেন না ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের প্রয়াত নায়িকা পল্লবীর সহ-অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু(Anjana Basu)। বৃহস্পতিবারই একসঙ্গে শ্যুট করেছেন। পর্দার সেই ‘গৌরী’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার সকালে। পল্লবীর মতো প্রাণবন্ত মেয়েও যে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁর আরেক সহ-অভিনেতা ভরত কল(Bharat Kaul)।
হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা অভিনেত্রী পল্লবীর(Actress Pallavi Dey death Mystery)। ডাকনাম মিষ্টু। সাঁতরাগাছি ভানুমতি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে(Calcutta University) পড়াশোনা শেষ করে একটি বিনোদন সংস্থায় কিছুদিন চাকরিও করেন। এরপর বাংলার বিভিন্ন বিনোদন টিভি চ্যানেলেই কাজ করেছিলেন পল্লবী দে। ‘কুঞ্জছায়া’, ‘রেশম ঝাঁপি’, ‘আমি সিরাজের বেগম’ ইত্যাদি নানা টিভি সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। টলিউডে পল্লবীর(Pallavi Dey) যাত্রা খুব বেশি দিন হয়নি। মূলত ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে সিরাজের স্ত্রী লুৎফার চরিত্রে অভিনয় করেই পরিচিতি পান পল্লবী দে। বর্তমানে এক বিনোদন চ্যানেলের ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়(Jayjit Banerjee)। তাঁর দাবি, ‘‘একটু চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে ছিল পল্লবী। শ্যুটের ফাঁকে অবসর সময়ে কেমন যেন অন্যমনস্কও থাকত। তা বলে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে ও ছিল না!’’ অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুর(Anjana Basu) আফশোস, ‘‘প্রজন্মের দাবি মেনে পল্লবীও বন্ধনহীন সম্পর্কে একত্রবাস করছিল। মা-বাবার সঙ্গে থাকলে যতই সমস্যা আসুক, তাঁরা ঠিক সামলে দিতেন। এটা আমার বিশ্বাস। তা হলে হয়তো এভাবে অসময়ে ঝরে যেতে হত না। পাশে পরিবার নেই মানে পিছু ডাকারও যে কেউ নেই!’’