আর কোনও বাঁধা নেই। গত দু বছর কাঁটা হয়েছিল করোনা। সেই কাঁটাও এবার কার্যত সরে গিয়েছে। তাই এবার কালীপুজোর রাতে দক্ষিণেশ্বরের ভিতরে থেকেই মা ভবতারিণীর পুজো উপভোগ করতে পারবেন দর্শণার্থীরা। তাই একটু জায়গা পেতেই ভোর থেকেই থিকথিকে ভিড় দক্ষিণেশ্বরে। সিত্রাংয়ের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই গঙ্গার ধারে রানি রাসমনির তৈরি এই মন্দিরে লাখো ভক্তের সমাগম। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হবে পুজো। চলবে চারপ্রহর পর্যন্ত। ভাত, পাঁচ রকমের মাছ, পাঁচ রকমের আনাজ ভাজা, ঘি-ভাত, পাঁচ রকমের মিষ্টি ও দইয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে।
মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিবছরের মতো সাবেক গয়নাতেই সাজবেন ভবতারিণী। তাঁকে পরানো হবে বেনারসিতে। এদিন ভোর পাঁচটা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের গেট। সারারাতই নেওয়া হবে পুজো। গত দু বছর বাইরে থেকেই নমস্কার সারতে হয়েছিল। এবার নাট মন্দিরের পাশাপাশি বড় পর্দায় দেখা যাবে মায়ের পুজো। এছাড়া সন্ধে নামতেই চালু থাকবে সদ্য উদ্বোধন হওয়া লাইট অ্য়ান্ড সাউন্ড।
এই বছর দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর পুজো ১৬৮তম বছর পা দিল। চিরাচরিত মঙ্গলারতি দিয়েই শুরু হয়েছে মন্দিরের কাজ। নিত্য পুজোর পাশাপাশি চলছে বিশেষ পুজোর কাজ। এসে সোমবায়, তায় অমাবস্যা। তাই গঙ্গায় বাণ আসার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের আবহে তাই একটু রাতের দিকেই চাঁদনি ঘাট থেকে তোলা হবে পুজোর গঙ্গা জল। কালীপুজোর আগে থেকেই সাজানো হয়েছে মন্দির। গোটা মন্দির চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা। গঙ্গার ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।