ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই। শেষ ২০ দিনের লড়াই। রবিবার দুপুর একটা নাগাদ মৃত্যুর খবর টেলিভিশন স্ক্রিনে ভেসে উঠতেই আবেগ যেন বাঁধ মানেনি। এত প্রার্থনা সব যেন ব্যর্থ। মৃত্যু আসবেই, জানা ছিল। তবু যেন মন মানেনি। ঐন্দ্রিলার মৃত্যু নির্বাক করে দেয় টলিপাড়াকে। সন্ধে সাড়ে সাত নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ঐন্দ্রিলার।
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ, হাওড়ার হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার নিথর দেহ বের করে আনা হয়। আগেই হাসপাতালে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী ও অন্য বন্ধুবান্ধবরা। আসেন ঐন্দ্রিলার বাবা ও মা। অভিনেত্রীকে শেষবার দেখতে অজস্র ভিড় তখন হাসপাতাল চত্বরে। এরপর দেহ নিয়ে কুঁদঘাটের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। রবিবার হাসপাতালে ঐন্দ্রিলাকে দেখতে যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও টলিপাড়ার একাধিক কলাকুশলীরা। যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ঐন্দ্রিলার বাড়িতে আসে তাঁর মরদেহ। অভিনেত্রীর অকালপ্রয়াণে পাড়া ও পরিবারে শোকের ছায়া। আইভরি টাওয়ারের বাইরে তখন উপচে পড়ছে অনুরাগীদের ভিড়। শেষবার দেখার জন্য ভিড় জমে যায় এলাকায়। কুঁদঘাটের বাড়ি ছেড়ে এরপর টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে যায় তাঁর মরদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। সাড়ে ছটা নাগাদ ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে আনা হল ঐন্দ্রিলাকে। অনুরাগী ও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। রাত পৌনে আটটা নাগাদ শ্মশান থেকে বের হন ঐন্দ্রিলার পরিবার-পরিজনরা।