কালীপুজো বা দীপাবলি মানেই নানারকমের বাজির ছটা, যার অবশ্যম্ভাবী কারণ বায়ুদূষণ। এবারও তাঁর ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রচার বা ধরপাকড়েও এই ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। পরিবেশবিদদের মতে, এবারে কলকাতার চেয়েও বায়ুদূষণে এগিয়ে হাওড়া জেলা। সেখানকার ঘুসুড়িতে কালীপুজোর দিন বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ১৭৯ এমজি।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ অক্টোবর উত্তর শহরতলির কিছু জায়গায় দূষণের মাত্রা বেশি থাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরিবশবিদ সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষ জানান, কিছু মানুষ সমস্ত বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করায় হাওড়ায় পরিবেশ দূষণের মাত্রা এবার বেশি ছিল। তবে কলকাতায় এই মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই খবর। এবার মাত্র ৪৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে, গতবছরে যার সংখ্যা ছিল ৮৪ টি।
আরও পড়ুন- Kali Puja 2022: আলোর উৎসবে সন্ধে নামতেই শব্দবাজির তাণ্ডব, পুলিশি অভিযানে আটক ৮০
কালীপুজোর আগের দিন সকালে কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেকে গড়ে ১১০ এমজি। যাদবপুরে গড়ে ১২৫ এমজি। রবীন্দ্রভারতীতে গড়ে ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল। সল্টলেকে ১২০ এমজি, কালীপুজোর আগের দিন সকালে কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেকে গড় ১১০ এমজি। যাদবপুরে গড় ১২৫ এমজি। রবীন্দ্রভারতীতে গড় ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল। সল্টলেকে ১২০ এমজি, যাদবপুরে ১৪০ এমজি, রবীন্দ্রভারতীতে ১৭৬ এমজি। কলকাতার এই রিপোর্ট দেখে খুশি পরিবেশবিদ সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষ। কালীপুজো ও দীপাবলির মতো, ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এই ধারা বজায় রাখতে চায় রাজ্য সরকার।