রাজকোষ ফুলছে। হাসি ফুটছে কর্তাদের মুখে। আর নতুন বাবা-মা পেয়ে খুশি, বাবু, রানি, তিমিররা। সবমিলিয়ে এখন এক ফিলগুড হাওয়া আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo)। হিসাব বলছে, গত ছয় মাসে চিড়িয়াখানার ৯০-এর বেশি সদস্যকে দত্তক (Adoption) নেওয়া হয়েছে। তার ফলে, চিড়িয়াখানার কোষাগারে এসেছে প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা।
২০১৫ সালে চিড়িয়াখানায় (Zoo) পশুপাখি (Animals) দত্তক প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। ১৮ হেক্টর জমিতে ১০০০-এরও বেশি বণ্যপ্রাণী (Wildlife) রয়েছে। প্রথমে বার্ষিক চুক্তিতে দত্তক দেওয়া হত। বাঘ (Tiger), সিংহ (Lion) কিংবা হাতি (Elephant) দত্তক নিতে হলে বছরে দু’ লক্ষ টাকা দিতে হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। অনেকে দত্তক নিতে আগ্রহ দেখান। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলাত না। সাধারণ মানুষের সাধ্যের কথা ভেবে গত সেপ্টেম্বর থেকে মাসিক দত্তক প্রক্রিয়া চালু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে অনলাইনে দত্তক প্রক্রিয়াও চালু করা হয়।
করোনার (Covid 19) সময়ে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকলেন, তবে খোলা ছিল অনলাইনে দত্তক নেওয়ার কাজ। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত (Ashis Kumar Samanta) জানিয়েছেন, বার্ষিক চুক্তির পাশাপাশি মাসিক চুক্তি চালু করার পর দত্তকে ভাল সাড়া মিলছে। পড়ুয়ারাও এখন দত্তক নিতে এগিয়ে আসছেন। দত্তক নিলে চিড়িয়াখানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় অভিভাবকদের। তাঁদের দেওয়া হয় চার জনের বিনামূল্যে একবার চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। সেইসঙ্গে, দত্তক নেওয়া সদস্যদের সঙ্গে জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিন উদযাপন করতে পারবেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেখানে আছেন টলি তারকা থেকে উচ্চপদস্থ কর্তা। এসবের মধ্যে মন ভাল নেই শ্রুতির। দু বছর আগে শেষবার তাকে কেউ দত্তক নিয়েছিল। তারপর থেকে একাকী আলিপুর চিড়িয়াখানার এই সিংহি।