এবার খাস কলকাতায় শিক্ষাকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। 'নিচুজাত' বলে সহকর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হতে হয়, এমনটাই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী মানিক হেমব্রমের। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি, স্বামীকে বাঁচাতে গেলেও শারীরিক নির্যাতন করা হয় ওই শিক্ষাকর্মীর স্ত্রী শকুন্তলা হেমব্রমকে।
আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে খবর, ৯ নভেম্বর বুধবার ওই শিক্ষাকর্মী সকালে কাজে এলে তাঁকে সহকর্মীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিটি রুমে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই শারীরিক হেনস্থার পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন। কোনও রকমে ওই জায়গা থেকে পালিয়ে এলে মানিকবাবুর পেছনে ধাওয়া করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ধরে ফের একপ্রস্থ মারধর চলে বলেই অভিযোগ ওই শিক্ষাকর্মীর। এমনকি, তাঁকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এরপর স্বামীকে বাঁচাতে এলে মানিকবাবুর স্ত্রী শকুন্তলা হেমব্রমকেও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: অনুব্রত এবং ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি! সিবিআই তলব ব্যাঙ্ক কর্মীদের
অভিযোগ পেতেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিঁথি থানায় ৭ অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত রাজকুমার ঝা-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি সাসপেন্ড করেছে বলেই জানান উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। অভিযুক্ত অন্যান্য অস্থায়ী কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও খবর।