বাংলার প্রয়াত ছাত্র নেতা আনিস খানের নামে এবার এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনের মঞ্চ। কেরলের দুই শহীদ ছাত্র নেতার সঙ্গে সর্বভারতীয় সম্মেলনে জায়গা পেলেন আনিস। আগামী ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন। আর সেই মঞ্চের নামকরণ করা হবে অভিমুন্য-ধীরাজ-আনিস খান মঞ্চ।
আনিস খানের মৃত্যুর পর গর্জে উঠেছে বামেরা। ছাত্রনেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে বারবার পথে নেমেছে বামেরা। বিক্ষোভ দেখিয়েছে শহরের রাজপথে। করা হয়েছে ইনসাফ সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতার বাবা সেলিম খান। সমর্থকদের জনজোয়ারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতা। এবার এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনে উঠে আসবে বাংলার প্রয়াত এই ছাত্রনেতার নাম। ফলে, অনেকেই মনে করছেন সিপিএমের অন্দরে ধীরে ধীরে নিজের জমি ফিরে পাচ্ছে বাংলা।
পরিবারের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা চার যুবক পৌঁছন আনিসের বাড়িতে। আনিসের নাম করে তারা ডাকাডাকি করায় দরজা খুলে দেন বাবা সালেম খান। এরপর পুলিসের পোশাক পরা একজন হাতে বন্দুক নিয়ে একটি ঘরে তাঁকে পাহারা দেয়। বাকি তিনজন তিনতলার ছাদে চলে যায়।
আনিস তখন ছাদেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পর সালেম ভারী কিছু পড়ার শব্দ শোনেন। এর পরেই ওই তিনজন নীচে এসে বন্দুকধারীকে বলে, স্যার কাজ হাসিল হয়ে গেছে। পরে বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ছাত্রনেতার মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি।