বীরভূমের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রতর মণ্ডলের হয়ে গরুপাচারের টাকা তুলত তাঁরই দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এই অভিযোগই করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এমনকী চার্জশিটের পাতায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নামও উল্লেখ করেছে সিবিআই। চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশে কাজ করার পাশাপাশি অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসাবেও কাজ করতেন সায়গল হোসেন। এমনকী, অনুব্রত মণ্ডলের নাম করে এনামুল এবং আবদুল লতিফের থেকে ঘুষের টাকা তুলতেন সায়গল হোসেন। মূলত এই টাকার বিনিময়েই গরুপাচারকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হত বলেও চার্জশিটে অভিযোগ সিবিআইয়ের। একইসঙ্গে বিশেষ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, বীরভূমের হাট থেকে মুর্শিদাবাদ হয়েই গরু যেত বাংলাদেশে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে গরুপাচার মামলার তদন্তে কৌশল সাজিয়েই কাজে নেমেছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কারণ, বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে গ্রেফতারের আগেই বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করে সিবিআই। সেইসঙ্গে আদালতে সায়গল ও এনামুলের কল রেকর্ডও পেশ করা হয়েছে। যদিও এই তথ্য জেরায় খারিজ করে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনটাই দাবি সিবিআই সূত্রে।
রাজ্য পুলিশের কর্মচারী সায়গল হোসেন। ২০০৫ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। এরপর ২০১১ সাল থেকেই বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। সিবিআইয়ের দাবি, বীরভূমের হাটের যাবতীয় দায়িত্ব অনুব্রতর হয়ে সামলাতেন সায়গল। তাঁর মায়ের নামে একটি পেট্রোল পাম্প আছে বলেও তদন্তে দাবি করা হয়েছে। মূলত ইলমবাজারে যেখানে হাট রয়েছে, সেখানেই এই পাম্প আছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
চার্জশিটে সিবিআই অভিযোগ করেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে বছরে ২৪ কোটি টাকা নেওয়া হত। যা সায়গল এবং এনামুলের বয়ানে মিলিছে বলেও আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।