বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর মেয়ে সুকন্যার সব সার্টিফিকেট আছে। তিনি সব পাস করেছেন। মেয়েকে তলব করেনি আদালত। তাঁকে নথি জমা দিতে বলেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুর থেকে রওনা হন সুকন্যা। বেলা বারোটা নাগাদ কলকাতার চিনার পার্কে অনুব্রত মণ্ডলের ফ্ল্যাটে ওঠেন তিনি। তিনটের সময় হাই কোর্টে যাবেন তিনি। প্রাথমিকে কীভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নিয়ে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পাঁচজনকে ডেকে পাঠিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই নিয়ে হাই কোর্টে বুধবার প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি জানান। এরপরই সুকন্যাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: আদালতে আজ হাজিরা অনুব্রত-কন্যার, 'শিক্ষিকা' সুকন্যা, অন্ধকারে ব্রাত্য, সমালোচনায় বিরোধীরা
এদিকে জানা গিয়েছে, সুকন্যা মণ্ডল নাকি দুটি চাকরি করতেন। একটি সরকারি, অন্যটি বেসরকারি। বোলপুরের প্রাথমিক স্কুলে ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করতেন তিনি। সেখান থেকে বেতনও নিতেন। এদিকে একই সঙ্গে একটি চালকলেও কাজ করতেন তিনি। বোলপুরের ওই প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।