এবার 'পার্থ-ঘনিষ্ঠ' অর্পিতাকে বেআইনি নিয়োগের অন্যতম চক্রী বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুধু তা-ই নয়, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হওয়া এই মডেল-অভিনেত্রীর বাড়িই ছিল স্কুলে বেআইনি নিয়োগের আঁতুড়ঘর। রবিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালতে এমনটাই জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উল্লেখ্য, শুক্রবার তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে বিপুল টাকার হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। হদিশ মেলে লক্ষাধিক টাকার সোনা এবং বিদেশি মুদ্রাও।
রবিবার কলকাতা সিএমএম আদালতে অর্পিতাকে তুলে ইডি-র দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী) পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই মডেল-অভিনেত্রী যথেষ্ট ‘প্রভাবশালী’। স্কুল সার্ভিস কমিশন ও প্রাথমিক টেট-এ নিয়োগ-দুর্নীতির তিনি অন্যতম মূল চক্রী। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথে অর্পিতার ফ্ল্যাট আদপে স্কুলে বেআইনি নিয়োগের ‘এপিসেন্টার’।
রবিবার অর্পিতাকে এক দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আজ, সোমবার তাঁকে সিবিআই ও ইডি-র বিশেষ আদালতে তোলার কথা। অর্পিতার কাছ থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে আলাদা মামলা করার কথাও ভাবছে ইডি।
অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে শিক্ষা দফতরের নিয়োগের বিভিন্ন নথি উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে এসএসসি, গ্রুপ-ডি ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের নথি রয়েছে। ইডি-র প্রশ্ন, এই সব নথি সরকারি দফতরে থাকার কথা। পাশাপাশি, ‘মিনিস্টার ইন-চার্জ এডুকেশন’ লেখা বেশ কয়েকটি খালি খামও পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, অনেক ক্ষেত্রে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ওই খামে করে বেআইনি নিয়োগের সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছিল। পরে তা চলে আসে অর্পিতার ফ্ল্যাটে। ইডি সূত্রে দাবি, বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণ তালিকা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা নথিও অর্পিতার হেফাজত থেকে পাওয়া গিয়েছে।