রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপর এই প্রথমবার মুখ খুলে হুগলির বাসিন্দা কুন্তল ঘোষের অভিযোগ, এই ইস্যুতে তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ, তিনি রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন না। তাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন সম্পর্ক নেই। এদিন আদালতে পেশে আগে কুন্তলের দাবি, ইডির চার্জশিটে তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা অতি নগন্য। অথচ সংবাদমাধ্যমের একাংশের অতি সক্রিয়তায় তার এবং তার পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ আগে দাবি করেছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি চেনেন। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কুন্তলের হঠাৎ এই ডিগবাজি কেন, সেই ব্যাপারে নজর রাখতে চায় রাজনৈতিক মহল। কারণ, এই ঘটনায় শুরু থেকেই কুন্তলকে পার্থ ও মানিকের মধ্যমণি বলে দাবি করে এসেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। এমনকী, এই ঘটনায় গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির নাটের গুরু কুন্তলই।
এদিন আদালতে পেশের আগে আর এক ধৃত তাপস মণ্ডলের অভিযোগ ছিল, কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির ম্যাজিসিয়ান। সেই ব্যাপারে অবশ্য এদিন উত্তর এড়িয়েছেন কুন্তল ঘোষ।