যেভাবে তাঁকে চাকরি ছাড়তে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে, তা ‘হাস্যকর এবং অন্যায্য'। এমনটাই মনে করেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা। শনিবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, যত দিন সম্ভব লড়াই চালিয়ে যাবেন। অধ্যাপিকার বক্তব্য, ‘‘গোটা ঘটনাটা হাস্যকর। অন্যায্য তো বটেই। এখন এত জন আমার হয়ে প্রতিবাদ করছেন দেখে ভরসা পাচ্ছি। যত দিন সম্ভব লড়াই চালিয়ে যাব।’’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বদ্ধপরিকর।
অভিযোগ, ইনস্টাগ্রামে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপিকার সাঁতারের পোশাক পরা ছবি ছিল। তা দেখতে পান এক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই ছবি ছেলে কেন দেখছে, তা নিয়ে আপত্তি তোলেন তার অভিভাবকেরা। শেষে ছাত্রের বাবার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন গোটা বিষয়টি।
আরও পড়ুন- Independence Day 2022: দু বছর পর দর্শক ফিরছে রেড রোডে, স্বাধীনতা দিবসে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর
অধ্যাপিকার দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেটমাধ্যমে দেওয়া তাঁর ছবিগুলি ‘আপত্তিকর’ এবং ‘অনুপযুক্ত’ বলে মনে করেন। অভিযোগ, সেই ছবির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বদনাম’ হচ্ছে। সে কারণেই তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও ওই অধ্যাপিকার অভিযোগ। তবে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া মনে করেন, তাঁর মতো যে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পোশাক নয়, কাজ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েই বিচার করা উচিত ।